স্বাধীনতা দেশের সবচেয়ে বড় অর্জন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, কিন্তু এই স্বাধীনতা হঠাৎ করেই আসেনি। এর পেছনে রয়েছে বহু বছরের শোষণ, নির্যাতন ও বঞ্চনার দীর্ঘ ইতিহাস।
হাজার বছরেরও বেশি সময় শোষণ-বঞ্চনা, নির্যাতন-নিপীড়নের দুঃসহ পথ অতিক্রম করলেও বাংলা ভাষাভাষী এ জনপদের মানুষের কোনো স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র ছিল না। দীর্ঘ নয় মাসের লড়াই শেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি ছিনিয়ে আনে মহাবিজয়। আর এ বিজয়ের পেছনে যে ব্যক্তিটি সার্বক্ষণিক নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন তিনি আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঢাকা সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আপনাদের ঢাকায় স্বাগত জানাতে পারায় আমি আনন্দিত।
ভারতকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের রাজনৈতিক নেতা ও জনগণ বাংলাদেশকে যে বিরাট নৈতিক ও বৈষয়িক সমর্থন দিয়েছিলেন তা গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে বাংলাদেশ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে এবং স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সকলকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী আলোচনায় অংশ নেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতির এই সফর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি হামিদ।